বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমলে এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য সরকার আবার সমন্বয় করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার (৮ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য রি-এডজাস্টমেন্ট করবে সরকার।
দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে সারাবিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামের পার্থক্য, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লাভ-ক্ষতির হিসেবও তুলে ধরেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে দেশে সব ধরণের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। লিটার প্রতি ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন ধরণের জ্বালানি তেলের দাম।
সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশ নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন- নেপালে ডিজেল ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়া ১৩৮, সিঙ্গাপুর ১৮৯ টাকা, চীন ১১৮ টাকা, আরব আমিরাত ১২২.৮০ টাকা ও হংকং এ ২৬০ টাকা।
তিনি আরও লিখেছেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের মূল্য অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।